Header Ads

Header ADS

পৃথিবীর ৫টি মনোমুগ্ধকর এবং ভয়ংকর আগ্নেয়গিরি!

আগ্নেয়গিরি,সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,আগ্নেয়গিরি,আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,জীবন্ত আগ্নেয়গিরি,আগ্নেয়গিরি লাভা,আগ্নেয়গিরি ভিডিও,ইন্দোনেশিয়া,ইতিহাস,আগ্নেয়গিরি কি,আগ্নেয় শিলা, লাভা,লাভার আগুন,আগ্নেয়গিরি,গ্যাস,আগুন,লাভার,পাথর,বানান,লাভা কেক,গান,রিশপ, তাজা খবর,ম্যাগমা,পর্বত,রহস্য,আগ্নেয় শিলা,লাভা উদগিরণ,ফুটন্ত লাভা,চকো লাভা কেক,লাভা উদগীরণ, শিলা,শিলা বৃষ্টি,পাললিক শিলা,শীলা,নিপুণ,টপ ঘঠনা,আগ্নেয় শিলা,রঙ,আগ্নেয়শিলা,আর্চি শিলা

হ্যালো বন্ধুরা!
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের দেখাবো পৃথিবীর ৫টি অবিশ্বাস্য আগ্নেয়গিরি।

আপনারা আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে তো অবশ্যই শুনেছেন। আগ্নেয়গিরি পৃথিবীতে অবস্থিত কিছু মুখ যা দিয়ে পৃথিবীর ভেতরে থাকা গরম লাভা ও গ্যাস বাহিরে বের হয়ে আসে।
যখন এ পদার্থগুলো অসংখ্য আকারে মাটিতে জমা হয় তখন তাকে অাগ্নেয়োগীরি পর্বতও বলা হয়ে থাকে।আগ্নেয়গিরি ওইখানে সৃষ্টি হয় যেখানে মাটির নিচে দুটি পরত একটির উপর আরেকটি বিপত্তিকর ভাবে অবস্থান করে। আজ আমি আপনাদের আগ্নেয়গিরি সম্পর্কে বলবো না আজ আমি আপনাদের বলব অগ্নেয়োগীরি দ্বারা তৈরি এমন কিছু জায়গার কথা যা শুনে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন।

আমি এমন কিছু আগ্নেয়গিরির কথা বলব যা দেখতে অসাধারণ কিন্তু ভয়াবহ বটে। তারপরও এর মনমুগ্ধকর দৃশ্য আপনাদের নজর কেড়ে নেবে।
Mud Volcano 

নাম্বার ১: Mud Volcano

এটাকে আপনি কাঁদার ভিতর আগ্নেয়গিরি ও বলতে পারেন। পৃথিবীর ভিতরে গ্যাস যখন পৃথিবীর দুর্বল মুখ খুঁজে পায় তখন ওই মুখ দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে, যার ফলে এখানে কাঁদার সৃষ্টি হয়। আজারবাইজান এমনই একটি কাদার আগ্নেয়গিরির দেশ। পৃথিবীতে পাওয়া ১০০০ টি কাঁদার আগ্নেয়গিরির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশ এই দেশেই পাওয়া যায়। আগ্নেয়গিরির উপরের অংশ পৃথিবী থেকে ৭০০ মিটার উঁচু হয়ে থাকে আর ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃতও হতে পারে। যেখানে সব আগ্নেয়গিরি গরম লাভা বের করে সেখানে এই আজারবাইজানের আগ্নেয়গিরি তার উল্টোটা করে! মানে ঠান্ডা গ্যাস বের করে কিন্তু এটা ঠিক ততটাই মারাত্মক, যতটা সাধারন আগ্নেয়গিরি হয়ে থাকে। এখানে মানুষের শ্বাস বন্ধ হয়ে মারাও যেতে পারে।

 নাম্বার ২:

অাগ্নেয়গীরি গলে যাওয়ার পর যখন ঠান্ডা হওয়া শুরু করে তখন তার লাভা জমতে শুরু করে। অনেক সময় এই লাভা কলামের মতো লম্বা লম্বা হয়ে জমতে শুরু করে অর্থাৎ ঠান্ডা আবহাওয়ায় এ কলামগুলো সুন্দর ভাবে দাঁড়ানো দেখা যায়।

নাম্বার ৩: Izen Volcano, East Java, Indonesia.

ইন্দোনেশিয়ার ইস্ট জাভায় আইজেন ভলকানো অবস্থিত। যার মোহনা দুই হাজার ২৬০০ মিটার উঁচু আগ্নেয়গিরি তে অবস্থিত আর এর ভিতর ২০০ মিটার গভীর সালফিউরিক এসিড দ্বারা পরিপূর্ণ। যখন এর থেকে লাভা বের হয় প্রচণ্ড গরমের কারণে সালফিউরিক এসিডেরর তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তারপর এই গ্যাস বাতাসে অবস্থিত অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে নীল রঙের ধোঁয়ার সৃষ্টি করে। এতে মনে হয় আগ্নেয়গিরি থেকে নীল রঙের লাভা বের হচ্ছে।

Volcano 
 নাম্বার ৪:
 যখন কোন আগ্নেয়গিরিতে বিস্ফোরণ হয় তখন প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ওই আগ্নেয়গিরি থেকে বের হয়ে আসে এবং আগ্নেয়গিরির চারপাশে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু যেখানে বিস্ফোরণ হয় ওইখানে খুব দ্রুত লাভা বের হতে থাকে। মাঝেমধ্যে লাভা এত দ্রুতই বের হয়ে আসে যে, ওখানে লাভার ফোয়ারা সৃষ্টি হয়ে যায়। অনেক সময় লাভা ৫০০ মিটারেরও বেশি উপরে উঠে যায়। আবার সেই লাভা গুলো নিচে আসতে আসতে জমতে শুরু করে আর ওই সময় অক্সিজেন আর লবন মিশে এই লাভা লাল রঙের হয়ে যায়।

নাম্বার ৫: ভ্যালি অফ লাভ তুর্কি
অনেক বছর আগে তুর্কির একটি অগ্নিগিরিতে বিস্ফোরণ হয়। যার ফলে ওই আগ্নেয়গিরি থেকে অনেক লাভা বের হয়ে আসে। সময় যাওয়ার সাথে সাথে লাভা ও পানি সংস্পর্শে এসে লাভার ওপরে মিনারের মতো আকার তৈরি হয়। এগুলোকে আমরা চাইলে চিমনিও বলতে পারি। এগুলোর এমন চিমনির মত আকারের কারণে এগুলোকে ভ্যালি অফ লাভ বলা হয়।

তো এইগুলোই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মনমুগ্ধকর আগ্নেয়গিরি।

আপনাদের এই আগ্নেয়গিরির সম্পর্কে ব্লগটি কেমন লেগেছে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন।

No comments

Powered by Blogger.