পৃথিবীর অবিশ্বাস্য ও ভয়ংকর গর্ত!
পৃথিবীর অবিশ্বাস্য ও ভয়ংকর গর্ত- All Time News website is only for healthy food, story, newspaper, bangladeshi newspaper, bollywood news, indian news, latest news and many more.
আচ্ছা আপনি কি কখনো ছোট বেলায় কাউকে এমনটা বলেছে যে, জানিস আমাদের নিচে একদম বিপরীত দিকে আমেরিকা রয়েছে।
আমরা যদি মাটি ধরে নিচের দিকে নামতে থাকি তাহলে এক সময় আমেরিকায় গিয়ে পৌঁছাব।
আপনারা এই কথাটি আপনাদের বন্ধুদের না বলে থাকলেও আমি কিন্তু প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করার সময় বন্ধুদের নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করতাম।
আর চিন্তা করতাম সত্যি কি নিচের দিকে খুড়তে খুড়তে এক সময় আমেরিকায় যাওয়া যাবে?
ছোটবেলায় আমি এটা জানতাম যে আমেরিকা একটা ধনী এবং শক্তিশালী দেশ। আমি চিন্তা করতাম এরকম যদি হয় একটা গর্ত খোঁড়া যেত তাহলে আমি দিনের বেলায় একটু ঘুরে আসতাম আমেরিকা থেকে আবার সন্ধার আগেই বাড়ি চলে আসতাম। কারণ রাত হয়ে গেলে যে আম্মু আমাকে বকা দিবে।
বন্ধুরা আজকে অনেক রিসার্চের মাধ্যমে আমাদের সেই ছোট্টবেলার প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজব।
আমরা সত্যি কি পৃথিবীতে এক পাশ থেকে আর এক পাশে গর্ত খুঁড়ে যেতে পারব আর পৃথিবীতে এ পর্যন্ত কেমন গর্ত খোড়া হয়েছে সে বিষয়ে আজকে জানবো তাহলে চলুন শুরু করি।
আমরা ইতিহাস দেখে জানতে পারি যে, মৃত লাশকে শুধু পোড়ানো হতো না বরং তা দাফনও করা হতো। আর উনাদের দাফন করার জন্য মাটির ভিতরে প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত গর্ত খোঁড়া হতো। আর এই প্রথা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। ইতিহাসে কিছু এমন ব্যক্তিরা রয়েছে যাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, রাজাদের মাটির ১৩ ফুট নিচে দাফন করা হতো। এটা তো ঠিক আছে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে, জাপানে পৃথিবীর সবথেকে গভীরতম রেল এষ্টেশন যা মাটি থেকে ২৪০ মিটার নিচে রয়েছে। আর এমন রেল স্টেশন ভারত ও রয়েছে। এটা হয়তো আপনার জানা থাকতে পারে।
এছাড়াও নরওয়েতে ২৪৭ মিটার নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড রোড বানানো হয়েছে।
আবার ইতিহাস ঘাটলে একটি তথ্য বের হয়ে আসে যে, ৮৬২ সালে মানুষ হাত দিয়ে একটি গুহা করেছিল যা কিনা ইংল্যান্ডে অবস্থিত। আর এই গুহা এখন অবধি অক্ষত রয়েছে, যার গভীরতা ৩৯০ মিটার।
এর থেকেও গভীরতম গুহা পৃথিবীতে যেটা রয়েছে সেটা স্লোভেনিয়া তে অবস্থিত। এর গভীরতা মাটি থেকে ৬০৩ মিটার নিচে। আর এটা এতো গভীর যে আপনি যদি এর ভিতর লাভ দিতে পারেন তাহলে আপনার গুহার নিচে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ১১ সেকেন্ড। কিন্তু আপনার কি এটা জানা আছে, আমেরিকারতে ৯৭০ মিটার গভীর একটা গর্ত আছে। যাতে ব্রুজ খলিফা কে খুব সহজেই সেট করে দেওয়া যেতে পারে। আর এর নাম হলো ক্যামিকড কপার মাইন। এটার গভীরতা প্রায় চার হাজার কিলোমিটার।
আপনি শুনে অবাক হবেন যে,ফিনল্যান্ডে একটা মিউজিক ব্যান্ড রয়েছে যার নাম একো নাইজার যা কিনা ১৫০০ মিটার নিচে একটি মিউজিক্যাল কনসার্ট করেছিল।
হ্যাঁ বন্ধুরা এটা হয়েছিল দেড় হাজার কিলোমিটার নিচে এক গভীর গর্তের ভিতর। বন্ধুরা আপনারা মনে করতে পারেন যে হয়তো এর চেয়ে গভীরতম গর্ত এ পৃথিবীতে আর নেই কিন্তু আপনার ধারণাকে ভুল করে দিয়ে আফ্রিকাতে এক গভীর গুহা পাওয়া গিয়েছে যার গভীরতা প্রায় ৪০০০ মিটার। যার গভীরতা এ পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে লিফটে করেই ৫ মিনিট।
রাশিয়াতে ১২২৬২ মিটার একটা গর্ত করা হয়েছিল। এই গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে একটা সময় থেমে যাওয়া হয়েছে। কারণ ১২২৬২ মিটার নিচে এর তাপমাত্রা হয়েছিল প্রায় ৩০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা কিনা টেকনোলজির মাধ্যমে জানা গেছে। আর তাছাড়া আপনি ভেবে চমকে যাবেন যে, একটা প্লেন মাটি থেকে যতটা উপর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে সেই উপরের জায়গা থেকে মাটি পর্যন্ত যতটা দূরত্ব থাকে ততটাই গভীরতা এই গর্তটার হয়েছিল।
তো বন্ধুরা "পৃথিবীর অবিশ্বাস্য ও ভয়ংকর গর্ত" ব্লগটির মধ্যে কোন গর্তগুলো আপনার কাছে সবচেয়ে ভয়াবহ লেগেছে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
আচ্ছা আপনি কি কখনো ছোট বেলায় কাউকে এমনটা বলেছে যে, জানিস আমাদের নিচে একদম বিপরীত দিকে আমেরিকা রয়েছে।
আমরা যদি মাটি ধরে নিচের দিকে নামতে থাকি তাহলে এক সময় আমেরিকায় গিয়ে পৌঁছাব।
আপনারা এই কথাটি আপনাদের বন্ধুদের না বলে থাকলেও আমি কিন্তু প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করার সময় বন্ধুদের নিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করতাম।
আর চিন্তা করতাম সত্যি কি নিচের দিকে খুড়তে খুড়তে এক সময় আমেরিকায় যাওয়া যাবে?
ছোটবেলায় আমি এটা জানতাম যে আমেরিকা একটা ধনী এবং শক্তিশালী দেশ। আমি চিন্তা করতাম এরকম যদি হয় একটা গর্ত খোঁড়া যেত তাহলে আমি দিনের বেলায় একটু ঘুরে আসতাম আমেরিকা থেকে আবার সন্ধার আগেই বাড়ি চলে আসতাম। কারণ রাত হয়ে গেলে যে আম্মু আমাকে বকা দিবে।
বন্ধুরা আজকে অনেক রিসার্চের মাধ্যমে আমাদের সেই ছোট্টবেলার প্রশ্নের উত্তরটি খুঁজব।
আমরা সত্যি কি পৃথিবীতে এক পাশ থেকে আর এক পাশে গর্ত খুঁড়ে যেতে পারব আর পৃথিবীতে এ পর্যন্ত কেমন গর্ত খোড়া হয়েছে সে বিষয়ে আজকে জানবো তাহলে চলুন শুরু করি।
আমরা ইতিহাস দেখে জানতে পারি যে, মৃত লাশকে শুধু পোড়ানো হতো না বরং তা দাফনও করা হতো। আর উনাদের দাফন করার জন্য মাটির ভিতরে প্রায় ৬ ফুট পর্যন্ত গর্ত খোঁড়া হতো। আর এই প্রথা হাজার বছর ধরে চলে আসছে। ইতিহাসে কিছু এমন ব্যক্তিরা রয়েছে যাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে, রাজাদের মাটির ১৩ ফুট নিচে দাফন করা হতো। এটা তো ঠিক আছে।
![]() |
Source: Google |
এছাড়াও নরওয়েতে ২৪৭ মিটার নিচে আন্ডারগ্রাউন্ড রোড বানানো হয়েছে।
আবার ইতিহাস ঘাটলে একটি তথ্য বের হয়ে আসে যে, ৮৬২ সালে মানুষ হাত দিয়ে একটি গুহা করেছিল যা কিনা ইংল্যান্ডে অবস্থিত। আর এই গুহা এখন অবধি অক্ষত রয়েছে, যার গভীরতা ৩৯০ মিটার।
![]() |
Source: Google |
![]() |
Source: Google |
হ্যাঁ বন্ধুরা এটা হয়েছিল দেড় হাজার কিলোমিটার নিচে এক গভীর গর্তের ভিতর। বন্ধুরা আপনারা মনে করতে পারেন যে হয়তো এর চেয়ে গভীরতম গর্ত এ পৃথিবীতে আর নেই কিন্তু আপনার ধারণাকে ভুল করে দিয়ে আফ্রিকাতে এক গভীর গুহা পাওয়া গিয়েছে যার গভীরতা প্রায় ৪০০০ মিটার। যার গভীরতা এ পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে লিফটে করেই ৫ মিনিট।
![]() |
Source: Google |
রাশিয়াতে ১২২৬২ মিটার একটা গর্ত করা হয়েছিল। এই গর্ত খুঁড়তে খুঁড়তে একটা সময় থেমে যাওয়া হয়েছে। কারণ ১২২৬২ মিটার নিচে এর তাপমাত্রা হয়েছিল প্রায় ৩০০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা কিনা টেকনোলজির মাধ্যমে জানা গেছে। আর তাছাড়া আপনি ভেবে চমকে যাবেন যে, একটা প্লেন মাটি থেকে যতটা উপর দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে সেই উপরের জায়গা থেকে মাটি পর্যন্ত যতটা দূরত্ব থাকে ততটাই গভীরতা এই গর্তটার হয়েছিল।
তো বন্ধুরা "পৃথিবীর অবিশ্বাস্য ও ভয়ংকর গর্ত" ব্লগটির মধ্যে কোন গর্তগুলো আপনার কাছে সবচেয়ে ভয়াবহ লেগেছে আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।
No comments